করোনায় সচেতন হবেন যেভাবে
প্রকাশিত : ১৬:২৬, ২৪ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৬:৩০, ২৪ জুন ২০২০
নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ বর্তমান পৃথিবীতে একটি আতঙ্কের নাম। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মত্যুবরণ করছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। তার প্রধান কারণ হলো আমাদের অসচেতনতা। আমাদের সচেতনতা হতে পারে করোনা হতে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। আমি করোনায় আক্রান্ত মানে আমিসহ আমার চারপাশের মানুষও ঝুকিপূর্ণ। তাই সবার আগে নিজেকে সচেতন করতে হবে।
করোনার তথ্য সংগ্রহে সচেতনতা
কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস কিভাবে ছড়ায়, এর থেকে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখতে হয় এবং এই ভাইরাস হয়েছে ধারণা করলে কী কী করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে অনলাইনে প্রচুর ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি। সুতরাং এ বিষয়ে সতর্কতা খুবই জরুরি এবং এই বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য কোথায় পাবেন তা জানাও উচিৎ। ইউনিসেফ একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও একটি কার্যকরী শাখা আছে যেখানে এ সম্পর্কিত বহুল তথ্য জানতে চাইলে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এছাড়া আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে তথ্য পেতে পারি।
করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়
সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্রের ফোঁটার (কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে তৈরি) সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে এবং এই ভাইরাস দ্বারা দূষিত অংশ স্পর্শ করার মাধ্যমে এটি সংক্রমিত হয়। কোভিড-১৯ ভাইরাস বেশ কয়েকঘণ্টা ভূপৃষ্ঠে বেঁচে থাকতে পারে, তবে সাধারণ জীবাণুনাশক এটিকে মেরে ফেলতে সক্ষম। করোনভাইরাসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। আরও মারাত্মক ক্ষেত্রে, এই সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হতে পারে। তবে, খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ প্রাণঘাতী হয়।
যেসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে
এসব লক্ষণগুলো ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা) বা সাধারণ ঠান্ডা-জ্বর, যা কোভিড-১৯ এর চেয়ে অনেক বেশি সাধারণ। এ কারণেই কোনও ব্যক্তি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে নেয়া দরকার। এটি মনে রাখা প্রয়োজন যে, মূল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো একই রকম। এর মধ্যে রয়েছে বার বার হাত ধোয়া এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। যেমন, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় কনুই দিয়ে ঢেকে নেয়া বা টিস্যু ব্যবহার করা, তারপর টিস্যুটি নিকটবর্তী বন্ধ ময়লার বাক্সে ফেলে দেয়া। এছাড়াও, জ্বরের জন্য একটি টিকা রয়েছে। তাই, নিজেকে এবং নিজের সন্তানকে সময় মতো ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা মনে রাখবেন।
মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা
যদি কারো শ্বাসকষ্টের লক্ষণ (কাশি বা হাঁচি) থাকে, তবে অন্যের সুরক্ষার জন্য একটি মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি কোন লক্ষণ না থাকে, তবে মাস্ক পরার কোন প্রয়োজন নেই। যদি মাস্ক পরা হয় তবে ভাইরাস সংক্রমণের বাড়তি ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহারের পর এগুলো যথাযথভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিতে হবে।
সেবা কেন্দ্রিক সচেতনতা
আপনার ফ্লু’র মতো শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অন্যান্য সংক্রমন থাকে, তবে দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা নিন। এছাড়াও, অন্যদের মধ্যে এই সংক্রমন ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য জনসমাগমস্থলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছে এমন কোনও এলাকা যদি আপনি ভ্রমণ করে থাকেন, বা কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছে এমন কোনও এলাকা ভ্রমণ করেছে ও শ্বাসতন্ত্রের জটিলতার লক্ষণ রয়েছে এমন কারও সাথে যদি আপনার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হয়, তবে আগে থেকেই স্বাস্থ্য সেবাদানকারীর সাথে কথা বলুন। হসপিটালে সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা নিতে হবে।
এমবি//